বাধা পেরিয়া লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায়।। জেনে নিন জীবনে সফল হওয়ার উপায়।

কারো জীবনের কোন সমস্যা নেই, কোনো কাজে বাধা নেই, অফিসে কোনো ঝামেলা নেই অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন লস নেই এমনতো হতে পারে না। জীবন থাকলে যেমন সেই জীবনে দুঃখ-কষ্ট উভয়টি বিদ্যমান, ঠিক একইভাবে প্রতিটি কাজে বা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অনুকূল এবং প্রতিকূল অবস্থা অবশ্যই থাকবে এটাই আমাদের অনুমান। 

আবার সমস্যা দেখা দিলে এই সমস্যাকে জড়িয়ে থাকা যাবে না যদি হোন আপনি একজন বুদ্ধিমান , খুঁজতে হবে আপনাকে সেই সমস্যার সঠিক কোন সমাধান। বাধা আসলে যদি কমিয়ে দিতে চায় আপনাদের কাজের গতি, বাধা পেরিয়া লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় বা জীবনে সফল হওয়ার উপায় খুঁজতে অবলম্বন করুন নিম্নোক্ত নীতি। 

বাধা পেরিয়া লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায়।। জীবনে সফল হওয়ার উপায়।

লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায়ঃ০১।। সর্বদা গতি সামনের দিকে রাখাঃ 

অনেকেই আছে যারা জানেই না যে তাদের জীবনের লক্ষ্য কি। লক্ষ্যহীন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা নিজেই। কারণ তাদের জীবনে বাধাবিঘ্ন আসলে তারা বুঝতেই পারে যে এসবের কারণে তার কোন ক্ষতি হচ্ছে কি না। 


সুতরাং তাদেরকে নিয়ে আমরা এখানে কোন আলোচনা করে তাদের ডিস্টার্ব করতে চাচ্ছি না। কারণ তাদের যেহেতু কোন লক্ষ্যই নেই, সেহেতু লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় খুঁজা মানে তাদের আরামের ঘুমে ডিস্টার্ব করা। 

এখন আসি আপনার কথায়। আপনি ইতিমধ্যে হয়ত আপনার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছেন অথবা লক্ষ্য ঠিক করার পথেই আছেন এবং আপনার লক্ষ্যে পৌঁছার পথে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে বলেই আজকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় বা জীবনে সফল হওয়ার উপায় খুঁজতে আপনি এই আর্টিকেল পড়তে ইচ্ছুক হয়েছেন।

আপনি যখন আপনার কোন একটি লক্ষ্য ঠিক করলেন, হতে পারে সেটা কোন একটি প্রফেশন বা চাকরিকে কেন্দ্র করে, অথবা হতে পারে আপনার সেই লক্ষ্য কোন নির্দিষ্ট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে, ঠিক তখনই দেখবেন আপনি না চাইতেও অনেক বাধা বিঘ্নতার স্বীকার হচ্ছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে যখনই কোন মানুষ তার লক্ষ্য ঠিক করে, তখন তার নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কারণ কি? উত্তর হচ্ছে, যখন কোন মানুষ তার লক্ষ্য ঠিক করতে সক্ষম হয়, তখন তার কাছে লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য চুড়ান্ত কোন পরিকল্পনা না থাকলেও খসড়া কোন পরিকল্পনা থাকে।

আর যখন কোন মানুষ তার পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে চায়, তখন তার চোখের সামনে চলার পথটি সুস্পষ্টভাবে দেখতে পায়। তখন তার কাছে অনেক কিছুই বুঝা সম্ভব হয়ে যায় যে, কোন কাজ বা কোন জিনিস তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে বাধাস্বরূপ আর কোন কাজটি তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে সহায়ক। 

বাধা বা সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে সমস্যাগুলো আগে সনাক্ত করতে পারা। পরিকল্পিত একটি জীবনে একটি মানুষ অন্ততপক্ষে তার সমস্যা গুলোকে  চিনতে সক্ষম হয়। সে তখন বুঝতে পারে যে, আমার পারিবারিক এই সমস্যাজনিত কারণে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। এভাবে সে বুঝতে পারে যে, আমার সামাজিক বা অফিসের বা ব্যবসা প্রতিষ্টানের এই সমস্যার কারণে আমার লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। 

এমতাবস্থায় আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় বা জীবনে সফল হওয়ার উপায় কি? আপনি যখন সমস্যা সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন, তখন আপনার কাজ হচ্ছে নিজেকে সর্বদা লক্ষ্যের দিকে গতিময় রাখা। বাধার কারণে হয়ত আপনার গতি কিছুটা কমে যেতে পারে, কিন্তু সমস্যার প্যাঁচালে পড়ে আপনার কাজের গতি একদম শূন্যতে নিয়ে আসা যাবে না।

জীবনে লক্ষ্যে পৌঁছাতে যে কোন সমস্যা আসুক না কেন, আপনার যদি সেই সমস্যা সমাধানের জন্য ১০০ ভাগ যোগ্যতা না থাকে, তাহলে  আপনি ১০ ভাগ যোগ্যতা দিয়ে হলেও সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং আপনার গতি সর্বদা সামনের দিকে রাখেন। 

যদি ব্যাপারটা এমন হয় যে, কোন সমস্যার সমাধানের জন্য আপনাকে উড়াল দিতে হবে, তাহলে আপনি উড়াল দিতে না পারলেও আপনাকে অন্ততপক্ষে দৌড়াতে হবে, দৌড়াতে না পারলেও হাঁটতে হবে, হাঁটতে না পারলেও হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হবে। 

অর্থাৎ সমস্যা সমাধানের জন্য যে পদক্ষেপই গহন করেন না কেন, লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় বা জীবনে সফল হওয়ার উপায় হচ্ছে আপনার গতি সর্বদা যেন সামনের দিকেই থাকে বা লক্ষ্যের দিকে থাকে। 


লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায়ঃ০২।। অফিসে সমস্যা বা বাধার সমাধানঃ 

আমাদের যদি লক্ষ্য কোন চাকরি বা প্রফেশনকে ক্ষেন্দ্র করে হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের কর্মস্থলেই এমন কিছু সমস্যা বা বাধার সৃষ্টি হয় যা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিলম্ব ঘটায়, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এইসব সমস্যার কারণে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভবই হয় না। 


কারণ চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা বা বাধা সৃষ্টি হলে আমরা চাইলেও সেই সমস্যার সমাধান করতে পারিনা আমাদের অনেক লিমিটেশন থাকার কারণে। আপনি কোন কোম্পানিতে নিচু পদে চাকরি করেন, অথবা উচ্চ কোন পদে চাকরি করেন না কেন, সর্বদা আপনার একটি লিমিটেশন থাকবে এবং যার কারণে আপনার একার পক্ষে কোন সমস্যার সমাধান দেওয়া সম্ভব হয় না। 


এমতাবস্থায় আপনি যদি মনে করেন আপনার জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানো আপনার জন্য খুবই জরুরী, তাহলে যে সমস্যাটি আপনার কর্মস্থলে তৈরি হয়েছে এবং যে সমস্যার কারণে আপনি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারছেন না, সেই সমস্যাটি আপনি একা সমাধান করতে না পারলেও আপনাকে সংঘবদ্ধভাবে সমাধান করতে হবে।  


সংঘবদ্ধভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় বা জীবনে সফল হওয়ার উপায় খুঁজে বাহির করার মানে এটা নয় যে, আপনি অফিসের সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করবেন অথবা সবাই মিলে অফিসের সামনের দাঁড়িয়ে অফিসের গ্লাস ভাংচুর করবেন।


উদাহরণস্বরূপঃ আপনি কোন কোম্পানির সেলস এন্ড মার্কেটিং বিভাগে কাজ করেন। আপনাকে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করার জন্য মাসিক একটি টার্গেট প্রদান করা হলো। আপনি প্রথম মাসে খুব সুন্দর করে আপনার সেই সেলস টার্গেট পূরণ করতে সক্ষম হলেন। 


তারপর আমাদের যে দেশে যে সমস্যাটি হয়, তা হচ্ছে আপনি যখন কোন একটি কাজ ভালোভাবে করবেন, তখন আপনার বস আপনার উপর কাজের চাপ আরেকটু বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদি এই ঘটনাটি আপনার সাথে সংঘটিত হয়,  তাহলে এটা আসলেই একটি মারাত্মক সমস্যা যা আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করবে।


সমস্যা এই জন্য বলছি, কারণ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যখন কোন সেলস অফিসারকে সেলস টার্গেট দিয়ে থাকে, তখন তার সেলস টার্গেট অনুযায়ী তার বেতন, কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের কস্টিং এবং প্রফিট হিসাব করেই দিয়ে থাকে। সুতরাং আপনি যখন টার্গেট এর উপরে কাজ করবেন, তখন এটা হবে কোম্পানির  প্রতি আপনার অতিরিক্ত প্রচেষ্টা। 


আর এই অতিরিক্ত প্রচেষ্টাই আপনার জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়াবে, যখন আপনি পরের মাসে টার্গেট ফিলাপ করতে পারবেন না আপনার কোন ব্যক্তিগত, পারিবারিক অথবা শারীরিক কোনো সমস্যার কারণে। আর এরকম ঘটনা যখন বারবার রিপিট হতে থাকবে, তখন আপনি যোগ্য ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও আপনি ঐ প্রতিষ্ঠানের জন্য হয়ে যাবেন একজন অযোগ্য ব্যক্তি। এরকম পরিস্থিতিতে লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় কি হতে পারে?   


তখন আপনি বুদ্ধিমানের মত কাজ করতে হবে। আপনাকে আপনার বসের সাথে তর্ক বিতর্কে না গিয়ে আপনাকে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে কৌশলে। কৌশলটি হচ্ছে আপনি আপনার অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে হবে। 


তাদের ভালো করে বুঝাতে হবে যে, আমরা সবাই যেহেতু একই ডিপার্টমেন্টে কাজ করছি এবং আমাদের এই কাজ ছাড়াও আমাদের সবার ব্যক্তিগত একটি জীবন আছে, আমাদের পরিবার আছে, আমাদের অসুখ-বিসুখ এগুলো তো আছেই। সুতরাং আমরা যদি আমাদের বিভিন্ন সমস্যার কারণে অফিসের কোনো কাজ ঠিকমতো করতে না পারি, তাহলে কি আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চাপে থাকবো অথবা চাকরি হারাবো? 


যখন আপনি তাদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করবেন, তখন আপনি সবার স্বার্থের কথা চিন্তা করে আলাপ করবেন। যে সমস্যাটি আপনি ভুগ করছেন, সেই সমস্যা যদি তাদের মধ্যে কেউ ভুগ করে থাকে, তাহলে আপনার এই আলাপ আলোচনা অবশ্যই সফল হবে।


তখন সবাই সংঘবদ্ধভাবে আপনারা একটি সেলস টার্গেট নির্ধারণ করে নিবেন। যে টার্গেট সম্মিলিতভাবে নির্ধারণ করবেন, তা যেন আপনার বিপক্ষে না যায় আবার প্রতিষ্ঠানেরও ক্ষতি না হয়। পরের মাসে যখন সবার পারফরম্যান্স একই হবে বা প্রায় কাছাকাছি হবে, তখন আগের মাসে আপনি যে প্রেসারে ছিলেন, এই প্রেসারটি আর থাকবে না সংঘবদ্ধভাবে যদি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে আসেন। 


এভাবে প্রতিষ্ঠানের সাথে নেমক হারামি না করে নিজেকে বাঁচাতে হবে, নিজের পরিবারকে সময় দিতে হবে এবং নিজের স্বপ্ন বা জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় করে নিতে হবে। 


উদাহরণে আমরা একটিমাত্র কাজের সমস্যার কথা আলোচনা করলেও আপনি আপনার কাজের ধরন, সমস্যার ধরন এবং আপনার সহকর্মীদের ধরন ইত্যাদি চিন্তা করে সম্মিলিতভাবে একটি সমাধানে আসার চেষ্টা করবেন।


মনে রাখা উচিত, একজন মানুষ কিন্তু সব ধরনের গুণাবলীর অধিকারী হতে পারে না। আপনি যখন কোন কাজের সমাধানের জন্য অন্যদের সাথে মিলে কাজ করবেন, তখন তাদের মধ্যে যে গুণাবলী আছে এবং আপনার মধ্যে যে গুণাবলী আছে সব মিলে একটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। 


অতএব কর্মস্থলের যে সমস্যাটি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে, সেই সমস্যাটি যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সমাধান না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হতে পারবেন না বা লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় খুঁজতে সক্ষম হবেন না। 


সুতরাং আপনাকে বসে থাকলে হবে না, আবার চাকরি চলে যাবে এই ভয়েও দিনের পর দিন প্রেসার নিয়ে চলা যাবে না। জীবনে সফল হওয়ার উপায় হচ্ছে আপনাকে শুধু সঠিক সময়ে, সঠিক উদ্যোগ নিতে হবে এবং নিজে সমাধান করতে না পারলে, অন্যদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।  


লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায়ঃ০৩।। ব্যবসায় সমস্যা বা বাধার সমাধানঃ 

ব্যবসার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা বা বাধা সৃষ্টি হলে তার সমাধানের ক্ষমতা ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের থাকলেও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না। কারণ আমাদের দেশের ব্যবসার সকল নিয়ম নীতি শুধু কাগজের মধ্যেই থাকে, বাস্তবে তার কোন মিল নেই। প্রতিষ্ঠান ছোট হোক অথবা প্রতিষ্ঠান বড় কোন কোম্পানি হোক, সবারই একই প্রবলেম এবং তা হচ্ছে ২৪ ঘন্টাই সবাই চায় টাকা ইনকাম করতে।


পাড়ার মধ্যে মুদির দোকানের মালিকও চায় সারাদিন দোকান খোলা রেখে শুধু বেচা বিক্রি করতে। অনেকেই তো আবার দোকানের ভিতরেই রাত্রে ঘুমিয়ে থাকে, কেউ নক করলে আবার সাটার খুলে বেচা বিক্রিও চলে।


এখন আসেন কোম্পানির কথায়, আজকাল তো বিভিন্ন কোম্পানির লোকদের রাত দশটা হলে মার্কেটে কাজ করতে দেখা যায়। কেউ আবার বাসায় ফিরে রাত দুইটায়। এখন সবাই ভাবছেন কোম্পানির ক্ষেত্রে তো চাপ শুধু কর্মকর্তা বা কর্মচারীরাই নিয়ে থাকে, মালিক তো আরামে আছে। 


খবর নিয়ে দেখেন, মালিক আসলে আরামে নেই, কারণ অনেক বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের স্ত্রী আরেক জনের সাথে চলে, যার কোন খবর উনার কাছে নাই। কারণ, মিস্টার ব্যবসায়ী উনার ব্যবসা নিয়েই সারাদিন থাকেন। উনি জানেন যে, বাসায় উনার একজন স্ত্রী আছেন, তাকে সময় দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে উনার সময়স্বল্পতার কারণে তা আর হয়ে ওঠে না।


ঠিক একইভাবে একজন ব্যবসায়ী ভালো করে জানেন, উনার প্রতিষ্ঠানের কোন সমস্যা বা বাধা উনাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দিচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু উনি সারাদিন নিজেকে ব্যবসার মধ্যে ব্যস্ত রাখেন, সেহেতু উনার পক্ষে সেই সমস্যার সমাধান দেওয়া বা লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় খুঁজা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না, যদিও তিনি অনেক স্মার্ট এবং বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। 


এমতাবস্থায় একজন ব্যবসায়ী যিনি আসলেই কোন একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করছেন, উনার উচিত প্রতিষ্ঠানে এরকম সমস্যা সমাধানের জন্য কনসালটেন্ট বা মেন্টর হায়ার করা। তাতে কিছু টাকা পয়সা খরচ হয়ে গেলেও, প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, যা হয়তো আপনি সারাদিন কাজ করেও আপনার পক্ষে এবং আপনার স্টাফদের পক্ষে সম্ভব হবে না। 


যখনই কোন কিছুর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, তখন সেই প্রবাহের গতি অবশ্যই কিছুটা কমে যায়। এই গতি কমার কারনে যে জিনিস অর্জন করার জন্য আপনি ০৫ বছর সময় টার্গেট নিয়েছেন, সেই জিনিস আপনি অর্জন করবেন হয়তো সাত বছর বা আট বছর পরে। এই অতিরিক্ত সময় নষ্ট হওয়ার দ্বারা আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে,  সেই ক্ষতিগুলোর মধ্যে সবার উপরেই থাকবে আর্থিক ক্ষতি। 


তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখা দিলে, সেগুলোর প্রতি যদি কোন কারণে আপনার খেয়াল করা সম্ভব না হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই একজন ভালো মেন্টর বা কনসালটেন্ট হায়ার করতে পারেন, যদি মনে করেন আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আপনি যে সময় নির্ধারণ করেছেন, সেই সময়ের মধ্যেই আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান। 


পরিশেষে আমরা এটাই বলব, সমস্যা বা বাধা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে, অফিসের মধ্যে বা কর্মস্থলে,  অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা দিলে, আপনার মধ্যে একটি জিনিস থাকা প্রয়োজন এবং তা হচ্ছে ভবিষ্যৎ এর ব্যাপারে আশাবাদী থাকা। 


আপনি যদি আপনার ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী থাকেন এবং উপরের লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় বা জীবনে সফল হওয়ার উপায় গুলো যদি অবলম্বন করেন, তাহলে অবশ্যই সমস্যা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে হোক, আপনার কর্মস্থলে হোক, অথবা ব্যবসাতে হোক, আপনি অবশ্যই সেই  বাধা পেরিয়ে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। 


আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভাল লাগে, তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। সেই সাথে আমাদের “এডুকেশন” ক্যাটাগরিতে আরো বেশ কিছু আর্টিকেল রয়েছে, আপনারা চাইলে সেগুলোও পড়ে নিতে পারেন যা হয়তো আপনার উপকারে আসতে পারে। 


এরকম আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটকে ইমেইলের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন এবং সেই সাথে আমাদের ফেইসবুক পেইজ ফলো করে রাখতে পারেন। 


আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন বাধা পেরিয়া লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় বা জীবনে সফল হওয়ার উপায়। আরো পড়ুনঃ 


জব ইন্টারভিউতে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত। >> বিস্তারিত 

জব ইন্টারভিউ এর সময় কিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন।  >> বিস্তারিত

প্রফেশনাল লাইফে একটি মিটিংকে সফল করে কিভাবে আপনি সফলতা পেতে পারেন। >> বিস্তারিত

একজন ভালো বক্তা কি কি বিষয় বিবেচনা করে তার বক্তব্য প্রদান করেন। >> বিস্তারিত

সফলতার ০৬ টি লক্ষণ যা আমরা চিন্তাও করি না। >> বিস্তারিত 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url