বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস রচনা একদম সহজ ভাষায় সবার জন্য।
মহান স্বাধীনতা দিবস রচনা আমাদের সকল শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রার্থী সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস রচনা নিম্নে এমন লেখা হয়েছে যাতে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়তে, বুঝতে এবং লিখতে সুবিধা হয়।
আবার, যারা নির্দিষ্ট সংখ্যক শব্দের মধ্যে এই রচনাটি লিখতে চাচ্ছেন, অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০ শব্দ/২০০ শব্দ/৫০০ শব্দ এর মধ্যে লিখতে চাচ্ছেন, তারাও এই আর্টিকেল থেকে পছন্দের লাইন বা অনুচ্ছেদকে সাজিয়ে নিজের মত করে একটি রচনা লিখতে পারবেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস রচনা লিখতে গিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি সহজতর শব্দের ব্যবহার করতে যাতে, সবাই এই আর্টিকেলটি পড়ার পর সহজেই মনে রাখতে পারেন। নিম্নের হেডলাইন থেকে আজকের রচনার মূল লেখা শুরু হতে যাচ্ছে………………………………
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস রচনা।
২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য দিন, কারণ এটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করে। প্রতিবছর এই দিনটি এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালিত হয়, যা আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।১৯৪৭ সালে ভারত থেকে যখন পাকিস্তান নামক একটি রাষ্ট্র আলাদাভাবে সৃষ্টি হয়, তখন পাকিস্তান ভৌগলিকভাবে ছিলো দুই অংশে বিভক্ত, যার এক অংশের নাম ছিলো পূর্ব পাকিস্তান এবং অপর অংশের নাম ছিলো পশ্চিম পাকিস্তান।
উভয় পাকিস্তানের মধ্যে বিশাল ভৌগলিক দূরত্ব থাকা সত্বেও, একই ধর্মীয় অনুভতি এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে উভয় অংশই তখন একটি রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
তবে, উভয় পাকিস্তানের মধ্যকার এই ঐক্য বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, কারণ পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় অধিক জনসংখ্যার অধিকারী পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ শীঘ্রই বুঝতে পেরেছিল যে তারা পশ্চিমাদের দ্বারা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তখন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে দমন-নিপীড়নের স্বীকার হয়েছিল, যার ফলে ক্রমশ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি হতাশা ও বিরক্তিবোধ বাড়তে থাকে।
পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে, যখন ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তৎকালীন একটি রাজনৈতিক দল, আওয়ামী মুসলিম লীগ পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপকভাবে জয় লাভ করে।
পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীরা এই নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে, বরং উল্টো পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর নৃশংস দমন অভিযান শুরু করে।
এই ধরেনর জুলুম-নির্যাতন পূর্ব পাকিস্তান জনগণ যারা তাদের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল তাদের হতাশা ও ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
তখন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনের বিরুদ্ধে যে কোনো বিরোধিতাকে দমন করার লক্ষ্যে "অপারেশন সার্চলাইট" নামে একটি বিশাল অপারেশন শুরু করে।
সামরিক এই অভিযানের ফলে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র, বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। এই ঘটনাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করে, যা পরবর্তীতে দীর্ঘ নয় মাস স্থায়ী হয়েছিল।
বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে গিয়ে একটি দীর্ঘ ও কঠিন সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, কারণ বাংলাদেশের জনগণকে একটি সুসজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল।
যাইহোক, মুক্তিযোদ্ধাদের দৃঢ় সংকল্প এবং সাহস শেষ পর্যন্ত প্রতিফলিত হয় ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে, যখন পাকিস্তানী বিশাল সেনাবাহিনীরা আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়।
তাই প্রতিবছর ২৬শে মার্চ এই তারিখ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয় এবং এই দিনে সম্মান জানানো হয় দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়াই করেছিলেন তাদের ত্যাগের
প্রতি। এই দিনে স্মরণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস এবং দৃঢ় সংকল্পকে যারা তাদের দেশের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
প্রতি। এই দিনে স্মরণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস এবং দৃঢ় সংকল্পকে যারা তাদের দেশের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
আজ আমরা যে স্বাধীনতার সুযোগগুলি উপভোগ করছি, অর্থাৎ স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাস, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য যে অগ্রগতি করেছে তার সবকিছু সম্ভব হয়েছে ঐতিহাসিক এই দিনটির কারণেই।
বাংলাদেশকে এখন বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশগত টেকসইতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আমরা দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এবং স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হয়েছে তার প্রতিফলন।
অতএব, ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এইদিন প্রশংসা করার একটি দিন, যাদের কারণে আজ আমরা একটি গর্বিত ও স্বাধীন জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের একটি জাতীয় গর্বের দিন, দেশের স্বাধীনতা উদযাপনের দিন এবং দেশের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে একসাথে মিলে কাজ চালিয়ে যেতে সংঘবদ্ধ হওয়ার দিন।
আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস রচনা, এই আর্টিকেল পড়ার পর আরো জানতে পারেনঃ
স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অনুচ্ছেদ>>> বিস্তারিত পড়ুন
গুছিয়ে লেখা পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান >>> বিস্তারিত পড়ুন।
ইংরেজি শেখার সবচেয়ে সহজ উপায় >>> বিস্তারিত পড়ুন।
ঢাকা মেট্রোরেল নিয়ে রচনা >>> বিস্তারিত পড়ুন।
ইংরেজি শেখার সবচেয়ে সহজ উপায় >>> বিস্তারিত পড়ুন।
ঢাকা মেট্রোরেল নিয়ে রচনা >>> বিস্তারিত পড়ুন।
লেখকের কথাঃ
আশা করছি যে, আপনাদের জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস রচনা খুব সহজ ভাষায় উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।মহান স্বাধীনতা দিবস রচনা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পড়ার পর আপনার জন্য উচিত হচ্ছে, নিজ খাতায় একবার হলেও লেখার চেষ্টা করা, যাতে পরবর্তীতে এই রচনা পরীক্ষার খাতায় লিখতে গেলে খুব সহজেই মনে করতে পারেন। ধ্যনবাদ।
ট্যাগঃ স্বাধীনতা দিবস রচনা, স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০ শব্দ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস রচনা, মহান স্বাধীনতা দিবস রচনা, স্বাধীনতা দিবস রচনা ২০০ শব্দ, ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস রচনা, স্বাধীনতা দিবস রচনা ৫০০ শব্দ, স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ, স্বাধীনতা দিবস রচনা ২০২৩, স্বাধীনতা দিবস রচনা ৫ম শ্রেণী, স্বাধীনতা দিবস রচনা চতুর্থ শ্রেণী, স্বাধীনতা দিবস রচনা তৃতীয় শ্রেণী, স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩,
Indepandent Day of Bangladesh